সত্যজিৎ রায়ের সিনেমা পথের পাঁচালী আমার কন্যাদের নিয়ে দেখেছি। ওখানে একটা দারুণ সিন আছে। একটা ছেঁড়া কাথার ভেতর দিয়ে অপুর চোখ বেরিয়ে আসে আর অপুর বোন তার সাথে খুনসুটি করতে থাকে। আমার কন্যারা খেলতে খেলতে সেই অপূর্ব সিনটাই ফিরিয়ে আনলো। এটা হল আফটার মুভি ইফেক্ট! ভালো সিনেমার একটা ইফেক্ট কিন্তু শিশুদের উপর পড়েই। শিশুরা হয়তো ভাষা বুঝতে পারে না কিন্তু অঙ্গভঙ্গি দিয়ে অনেক কিছুই আন্দাজ করে ফেলতে পারে। মুভির কোন অংশটুকুন খেলা সেটা ওরা ঠিক ধরে ফেলতে পারে। আমরা বাড়িতে নিয়মিত সিনেমা দেখে সময় কাটাই। এটা এক অর্থে দারুণ পারিবারিক টাইম আর আরেক অর্থে বিনোদোনের মাধ্যমে শেখা। শিল্পের আরেকটি মাধ্যমের সাথে পরিচিতি। তবে চিনি ও মধুর সাথে সিনেমা নির্বাচন করার সময় আমি বেশ সতর্ক থাকি। থাকতেই হয়!